ষ্টাফ রিপোর্টার : ২৬ নভেম্বর ভোরে শেরপুর সদর লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলী বাজারে পীরের বাড়ী যাওয়া কে কেন্দ্র করে দোকানপাট,ঘরবাড়ি, লুটপাট সহ ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত শুক্রবার কিছু মুসুল্লি মুর্শিদপুর দরবার শরীফ পীর সাহেবের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় একই ইউনিয়নের হাতীআলগা এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা হাসেনের লোকজন বাঁধা দেয় এবং মারপিট করে। বন বিভাগের কর্মচারী আলম এর বাড়ীর বেড়া ভেঙ্গে ফেললে, তখন সে বাসা থেকে বের হয়ে তার বাড়ীর সামনে এমন ঘটনার কথা জানতে চাইলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারধর করে বলে জানা যায়।

এ ঘটনার কারনে হাতীআলগার লোকজন খবর পেয়ে জামতলী বাজারে দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম, ফালা,লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে প্রায় ৪ ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার দিন পার্শ্ববর্তী আলু ক্ষেতে আলু তুলে বস্তা করার সময় জামতলীর কাশেম মেম্বারের , থেকে ৩০ বস্তা আলো নিয়ে যায় হাতী আলগার লোকজন।
উপরোক্ত ঘটনাগুলো স্থানীয় বিএনপির নেতাদের জানালে, হাতীআলগা ও জামতলীর মাতবর শ্রেনীর লোকজন তিন দিনের মধ্যে বসে ব্যাপারটি মীমাংসা করবে বলে জানায়। এর মধ্যে হঠাৎ করে ২৬ তারিখ ভোরে হাতীআলগার লোকজন সেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসেনের নেতৃত্বে জামতলী বাজারের প্রায় পনেরটা দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং সুলতানের বাড়ী ভাংচুর, খড়ের গাদায় আগুন ও ফ্রিজ,টিভি,আসবাবপত্র লুটপাট করে ও পাশেই দুলালের বাড়ী ও জুড়ল আলীর বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে করে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।