শেরপুরে পীরের দরবার ও কওমী মাদরাসা পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১ আহত ১২, আটক ৭

by শেরপুর কণ্ঠ ডেস্ক
1 মিনিটের পড়া

শেরপুরে ফারাজিয়া আল আরাবিয়া কওমী মাদরাসার সুপার তরিকুল ইসলাম ও খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের মধ্যে দুই পক্ষের সংর্ঘর্ষে আহত হয় ১৩, পুলিশে আটক হয় ৭ জন। আহতাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে একজন।

২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকাস্থ খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলামসহ ২৫ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫শ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে দরবারের খাদেম মাহমুদান মাসুম।

মুর্শিদপুর দরবার শরীফের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে একই এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া ক্বওমী মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের একটি অংশের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। মাদরাসা কতৃপক্ষের অভিযোগ, পীরের দরবারে ইসলাম পরিপন্থী কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। তাই দরবার বন্ধের দাবিতে এর আগেও মাদ্রাসা ও লছমনপুর এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ করে । এরই জের ধরে মঙ্গলবার ভোরে পীরের সেই দরবারে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত হয় মাদরাসা সুপার পক্ষের হাফেজ উদ্দীন সহ সাতজন। আর পীর পক্ষের ছয় জন।
গুরুতর আহতাবস্থায় হাফেজ উদ্দীনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে তার মৃত্যু ঘটে।


দরবারের খাদেম মো. ইমাম হোসেন এর অভিযোগ ওই মাদরাসার সুপার দীর্ঘদিন যাবত দরবার বন্ধের হুমকিসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোরে দরবারে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে।
মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এর অভিযোগ এই দরবারে শরীয়তপন্থী কার্যকলাপ হচ্ছে। মিমাংসার কথা বলে দরবারে ডেকে নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে পীরের লোকজন। ওই হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা গেছে হাফেজ উদ্দীন। হাফেজ উদ্দীনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

আরো খবর

আপনার মতামত দিন