শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সদর উপজেলা সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের বাড়ির ঘরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটেনি। শেরপুরে কিছু কুলাঙ্গার নেতাদের জন্য আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবস্থা। অথচ তারা আজ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোন দলের না, আমারা স্বতন্ত্র একটি সংগঠন। আমরা যতদিন বেঁচে আছি দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাবো এবং আগামীতে ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ পালনের পাশাপাশি ১৫ আগস্ট পালন করবো। এতে কোন বাধা বা আমাদের জীবনের ঝুঁকি হলেও আমরা পিছপা হবো না।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে একজন রাজাকারকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ।
তিনি আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার সকালে শেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহরের পৌর পার্ক সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আখতারুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ কাক্কু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ দে কৃষ্ণ।
এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন।
এ সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওইসময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।