শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক: শেরপুরের সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক অভিভাবক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের কক্ষে সভা করার প্রতিবাদ করায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত তিন সন্তানের জনক ওই অভিভাবক সদস্যের নাম মো. হারেজ আলী (৪০)।
সে সদর উপজেলার হরিণধারা গ্রামের মৃত শরাফত আলী মন্ডলের ছেলে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দু’টি পক্ষের মধ্যে বিবাদ ও আদালতে মামলা চলমান ছিলো। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে আদালত ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল ও এডহক কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মুক্তা একপক্ষকে নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সভা আহ্বান করেন।
এদিকে অভিভাবক সদস্য মো. হারেজ আলী তাদের বেআইনীভাবে সভা করার প্রতিবাদ করলে প্রথমে বাগবতিন্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল ও মো. শফিকুল ইসলাম মুক্তার নেতৃত্বে অন্যান্য সহযোগিরা মো. হারেজ আলীসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালায়। এসময় মো. হারেজ আলীর পিঠের কাছে ধারালো ফালা দিয়ে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম বলেন, ঘটনা জানার সাথে সাথে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এছাড়াও ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।