শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : তীব্র গরম উপেক্ষা করে আজ ১১ জুন বিকালে শেরপুর জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটির আনন্দ মিছিলে মানুষের ঢল নামে।
গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় বিএনপি শেরপুর জেলা বিএনপির ৪১সদস্য বিশিষ্ঠ্য কমিটি ঘোষনা করার পর আজ বুধবার এই আনন্দ মিছিল বের হয়। দুপুরের পর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল জড়ো হয়ে বিকাল ৫টার দিকে শহরের থানা মোড়ে জমায়েত হয়। অর্ধলক্ষাধিক নারী-পুরুষ ও নেতাকর্মী এই জমায়েতে অংশ নেয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
নবগঠিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফজুলুর রহমান তারা, ফাহিম চৌধুরি, সাইফুল ইসলাম, কামরুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, সরকার সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। ৫ আগস্ট এর পর থেকে যে সংস্কারে কথা বলা হচ্ছে তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান দুই বছর আগে থেকেই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলে আসছে।
বিশেষ বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহবায়ক ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে শেরপুর সদর আসন থেকে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
এ সময় তিনি নিজেকে আগামি দিনে বিএনপির মনোনয়ন দাবী করে বলেন, কোন দ্বন্দ সংঘাত নয় যিনিই আগামি দিনে দলের মনোনয়ন পাবেন আমরা তার হয়েই নির্বাচন করবো। যে কেউ মানোনয়ন পেলে আমি সবার আগে ধানের শীষের প্রার্থীকে স্বাগত জানাবো।
২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সর্ব কনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হিসেবে গণমাধ্যমে দেশ বিদেশে আলোচনায় আসা এই নেত্রী দীর্ঘ দিন পর জনসম্মথে আসায় প্রিয়াংকার প্রতি মানুষের কৌতুহল ছিল চোখে পড়ার মত। জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হযরত আলীর কন্যা এই প্রিয়াংকা।
এদিকে গত ৩ নভেম্বর শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার পর আজ বুধবার প্রথম বারের মত ওই বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক হযরত আলী শেরপুরে বিএনপির কোন কর্মসূচিতে আসলেন। বিএনপির এই আনন্দ শুভাযাত্রায় পিতা কন্যার উপস্থিতি মানুষের বিশেষ দৃষ্টি কাড়ে।