শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : শেরপুরের আলোচিত চোরাকারবারি ‘ডন’ মাসুদ এর বিরুদ্ধে ৪ ট্রাক চোরাই বালু উদ্ধার সহ আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজন ট্রাক ড্রাইভারকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হলেও ডন মাসুদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর রাতে উপজেলার ঝগড়ারচর এলাকায় স্থানীয় গ্রামবাসী ৪ ট্রাক চোরাই বালু সহ চারজন ড্রাইভারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে শ্রীবরদী থানায পুলিশ বালু ট্রাক সহ ওই চার ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার বৈধ বালুমহল ‘তাওয়াকুচা বালুমহল’ এর জাল রয়্যালটি রশিদ তৈরি করে ডন মাসুদ বালুগুলো জেলার বাইরে পাচার করছিল। স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রাকগুলো আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে এ ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে ওই বালু মহলের ইজারাদার জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ডন মাসুদ সহ আট জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য যে, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় ওই ডন মাসুদ দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে মাদক ও নানান চোরাকারবারি ব্যবসার পাশাপাশি চোরাই বালু পাচার করে আসছিল। সম্প্রতি তার এসব চোরাকারবারির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক যায়। এ সময় ওই সাংবাদিকদের বহনকারী প্রাইভেটকার এর ওপর হামলা চালায় ডন মাসুদ এর সিন্ডিকেট দল। এ সময় এলাকায় টহলরত পুলিশ থাকায় সাংবাদিকরা রক্ষা পায়। পরে এ ঘটনায় মাসুদকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পর থেকে মাসুদ গা-ঢাকা দিলেও তার ছত্রছায়ায় চোরাকারবারি থেমে নেই। ইতিমধ্যে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের অভিযান চললেও মাসুদকে ধরতে পারেনি কেউই।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ডন মাসুদ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সেজে এবং বর্তমানে বিএনপি সেজে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা ডন মাসুদকে বালু মাসুদ ও সুবিধাবাদী চোরাকারবারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার সাথে বিএনপি বা কোন অঙ্গ সংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম দুলাল।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ বলেন, বৈধ বালু মহলের ইজারাদারের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ করে চোরাই বালুসহ ৪ ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে সেই সাথে মামলার অন্যতম আসামি মাসুদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।