শেরপুরে ম্যারাথন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত বিএনপি নেতা রুবেল 

by শেরপুর কণ্ঠ ডেস্ক
2 মিনিটের পড়া

শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ম্যারাথন ইফতার মাহফিল নিয়ে। তার এই ইফতার মাহফিলকে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছেন এটা তার আগাম নির্বাচনী শো-ডাউন। 

জানা গেছে, গত বছরের ৩ নভেম্বর শেরপুর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলকে বাদ দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হযরত আলীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের একটি আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে যুগ্ম আহবায়ক হন সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল আউয়াল চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু নেতাদের মধ্যে অন্তদ্বন্দ ও নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে গত ২ জানুয়ারি ওই কমিটি বিলুপ্ত করেন কেন্দ্র। ওই কমিটি স্থগিত করার পর বর্তমানে প্রায় তিন মাস হলো কমিটি শূন্য শেরপুর জেলা বিএনপি। ফলে শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মোঃ হযরত আলী ঢাকায় অবস্থান করলেও সাবেক সভাপতি এবং শেরপুর-(শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের তিনবারের সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল তার নির্বাচনী এলাকায় রমজানের আগে থেকেই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তার অবস্থানকে দৃঢ় করতে দলীয় ও ব্যক্তিগত নানা কার্যক্রম এবং কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তারেক জিয়ার ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

তবে রমজান শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তিনি তার নির্বাচনী এলাকার দুইটি উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডগুলোতে ইফতার মাহফিলের ম্যারাথন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি ইফতার মাহফিলে পাঁচ থেকে আট হাজার লোকের সমাগম হয়। এ সময় তিনি বিভিন্ন অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সfমগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ঝিনাইগাতী এবং শ্রীবরদী উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছোটখাটো ইফতার সহ প্রায় ২০ টির অধিক ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন। বাকি ইফতারগুলো সর্বশেষ রমজান পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক রুবেল জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানিয়েছেন, বিগত ১৬-১৭ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীরা নানা জুলুম, অত্যাচারী ও নির্যাতিত হয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছিল। ৫ আগস্ট এর পরে তারা আবার ফিরে এসেছে। তাদের সঙ্গে আমার পুনর্মিলন এবং দলকে সুসংগঠিত করতে ৫ আগস্টের পর থেকেই আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি।  সেই সাথে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ, মতবিনিময় ও বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ ঠিক রাখতে এবং তাদের উজ্জীবিত করতে মূলত এই ইফতার মাহফিল। যদিও ইফতার মাহফিলের আগে ৫ আগস্টের পর থেকে আমি আমার এলাকা ছাড়িনি। এলাকার নির্যাতিত মানুষের খোঁজখবর নিয়েছি। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণজোয়ার তৈরি করতে আমি বরাবরই কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি আমি কখনোই এলাকা ছাড়িনি। সে কারণে হাজার হাজার মানুষ আমার ইফতার মাহফিলগুলোতে ভিড় করেছে। এপর্যন্ত আমি ১৫ টি ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার করেছি এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এর সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে এবং তাদেরকে ইফতার করিয়েছি।   আমার আসনের সচ্ছল নেতারা তাদের স্বস্ব উদ্যোগে ও অর্থায়নে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন।

আরো খবর

আপনার মতামত দিন