শেরপুর প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কদম ফুল

by শেরপুর কণ্ঠ ডেস্ক
2 মিনিটের পড়া

শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে সাদা শুভ্রতা আর সোনালি রঙ্গে লম্বা সাদার আবরণে ঝুলে আছে গোল গোল কদম ফুল। ফুলে ব্যস্ততা বেড়েছে মৌমাছিসহ পিপড়ার। মাঝে মাঝে বৃষ্টি মুর্ছনা বিমোহিত সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে।

আমাদের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং ঋতুর বর্ষা এক অনন্য ঋতু। বর্ষার আগমনকে স্বাগত জানাতে কদম ফুল যেন সর্বদা প্রস্তুত। রূপসী তরুর অন্যতম রূপবতী হলো কদম ফুল। একই সঙ্গে বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান। এ কদম ফুল যে কোন নারীর খোঁপা বা হাতে উঠলেই নারী হয়ে ওঠে প্রকৃতিময়।

শেরপুর জেলার পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠতে শুরু করেছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন। বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদ আর সাদায় সেজেছে সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। অসংখ্য কদম ফুল গাছ দেখা মিলছে যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্ণের অসংখ্য কদম ফুল। মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে কদম ফুল হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ ছোট ফুলগুলো কানে গুজে থাকছে।

আষাঢ়-শ্রাবণে কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকে আর প্রকৃতিতে মৌ মৌ গন্ধ থাকে বিরতিহীন তবে সময়ের আগেই দেখা মিলছে কদম ফুলের। কদম ফুলে সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি এনে দেয়। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকেও উপহার দেয়। মেয়েরা খোঁপায় বাঁধে, খেলায় মেতে উঠে শিশুরাও। মূলত শিশুরা ফুলগুলো ছিঁড়ে ভেতরে থাকা গোলা আবরণ ছোট্ট বল বানিয়ে খেলাধুলা করে।

পথচারী সুলতান (৪০) বলেন, ছোট বেলায় কদম ফুল নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি, সে-সময় যত গাছ দেখেছি বর্তমানে এতো গাছ চোখে পড়ে না। কদম ফুল অন্যরকম একটা ফুল যেটি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আমাদের গাছটিকে রক্ষা করতে বেশি বেশি লাগানো উচিত।

আফরোজা জান্নাত লিনা বলেন, কদম ফুলের মধ্যে যেন এক জাদুকরী শক্তি বিরাজ করে যার দ্বারা সে নিজের শত্রুদেরকেও কাছে টেনে নিয়ে আসে। কদম ফুল শুধু একটি ফুল নয়, এ যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা এক অপরূপ সৃষ্টি। বর্ষার আগমনে যখন প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে, তখন কদম ফুল তার হলুদ রঙ আর মিষ্টি সুগন্ধে সবার মন জয় করে। এই ফুলের সৌন্দর্য এমনই, যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় আর মন ভরে ওঠে আনন্দে। কদমের প্রতিটি পাপড়ি যেন প্রেমের, শান্তির আর সরলতার কথা বলে। 

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদ হোসেন বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদম ফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিস্নাতক দিনে বাঙালিদের মনে অন্য রকম অনুভূতি এনে দেয়। অনেক কবি সাহিত্যিক বর্ষার কদম ফুল নিয়ে অনেক কবিতা সাহিত্য রচনা করেছেন। কদম ফুল আসলে বাংলাদেশের প্রকৃতির বর্ষা মৌসুমে সৌন্দর্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। এটির কোনো ঔষধি গুণ আছে বলে আমার জানা নেই।

আরো খবর

আপনার মতামত দিন