শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক: শেরপুর জেলা বিএনপি’র আংশিক আহবায়ক কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেরপুর জেলা বিএনপি’র নামে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলের গৃহীত সিদ্ধান্তবলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা জানানো হয়।
এর আগে গেল বছরের ৪ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপি’র নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ওই কমিটিতে আহবায়ক করা হয় বিলুপ্ত জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হযরত আলী, যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব করা হয় আব্দুল আওয়াল চৌধুরীকে।
২ জানুয়ারির ঘোষণা অনুযায়ী এ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। ফলে আংশিক গঠিত ওই আহবায়ক কমিটি ২ মাসও পার করতে পারলো না। পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরিবর্তে আংশিক কমিটি স্থগিত ঘোষণা করায় জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়।
এদিকে তিনবারের সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে না থাকায় বিএনপির একটি অংশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আবার ওই আংশিক আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত হওয়ায় মাহমুদুল হক রুবেল অনুসারীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস শুরু হয়। রাতেই রুবেল অনুসারীর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী শহরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ মিছিল করেন। জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাতভর নেতা কর্মীরা এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য ভিড় করে। সেই সাথে রুবেলের নির্বাচনী এলাকা শেরপুর-৩ শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে জেলা শহরের তার বাসায় এসেও শুভেচ্ছা জানায়।
এ সময় মাহমুদুল হক রুবেল উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা বিগত দুই মাস কমিটি নিয়ে কোন সমালোচনা না করে যেভাবে শান্তিপ্রিয় ভাবে অবস্থান করছিলাম ঠিক সেভাবেই আমরা এখনো থাকবো। যেহেতু কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তর সাথে সাথে কোন দলীয় কার্যক্রম করা যাবে না তাই পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তের পর আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।
এদিকে দুই মাসের মাথায় শেরপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত হওয়ার কারণে শহর জুড়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে সাধারণ মানুষের মাঝেও এই বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি স্থগিতকে কেন্দ্র করে সরব আলোচনা চলছে।