শেরপুর হাসপাতালে এক টেন্ডারেই সরকারের ক্ষতি প্রায় অর্ধকোটি, পূণঃটেন্ডারের দাবী

by শেরপুর কণ্ঠ ডেস্ক
1 মিনিটের পড়া

শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে দূর্নীতি, ঘুষ বানিজ্যে লোক নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞার বিরুদ্ধে। ঠিকাদারদের অভিযোগ, সর্বনিম্ন দরদাতার পরিবর্তে অর্ধ কোটি টাকা বেশীতে পছন্দের ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। তাই, চলমান দরপত্র বাতিল করে স্বচ্ছতার সাথে দরপত্র আহবানের দাবী তাদের। এদিকে, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস জেলা সিভিল সার্জনের।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের ঔষধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল গেল ৭ অক্টোবর। ৬ টি গ্রুপে আহবান করা দরপত্রে সকল নিয়ম মেনে ১২ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন না করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কয়েকগুন বেশী দরদাতা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞা। অধিক দরদাতা যোগ্য নির্বাচিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্থ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন করে সচ্ছতার সাথে দরপত্র আহবানের দাবী তাদের।

ডাঃ সেলিম মিঞা চলতি বছরের জুলাই এ নিজ জেলায় তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। হরিজন সম্প্রদায়ের ১৪জনসহ ৬৩ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীকে এক বছরের বেতন বকেয়া রেখেই বিনা নোটিশে চাকুরীচ্যুত করে নিয়মনীতি না মেনে অর্থের বিনিময়ে স্বজনসহ নিজস্ব কয়েকজনকে নিয়োগ দেন। বকেয়া বেতনসহ চাকুরী ফেরত দেয়ার দাবী অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা ভুক্তভোগীদের।

এই তত্ত্বাবধায়ক যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ইচ্ছাকৃত বন্ধ রেখেছেন, এমনটাই দাবী কর্তব্যরত এই মেডিকেল টেকনিশয়ানের…

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তার…

ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন, শেরপুর।

ঠিকাদারদের তথ্যমতে, ঔষধ ও সরঞ্জাম ক্রয়ে পছন্দের ঠিকাদারকে নির্বাচন করলে সরকারের লোকসান হবে ৪৫লক্ষ ৩ হাজার ৭শ’ ৭৫ টাকা।

আরো খবর

আপনার মতামত দিন