Home » শেরপুরে মোবাইল কোর্টের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১২ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুরে মোবাইল কোর্টের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১২ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

by শেরপুর কণ্ঠ ডেস্ক

শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে ঝিনাইগাতি-শেরপুর-জামালপুর মহাসড়ক অবরোধ এবং ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১২ ইট ভাটার মালিক এর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের কাজে ব্যবহৃত পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়ীও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকদিন থেকে শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কাজ করছে প্রশাসন। যারই ধারাবাহিকতায় ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২ ঝিনাইগাতি-শেরপুর-জামালপুর মহাসড়ক অবরোধ করে ভাটা শ্রমিকরা। 

এদিকে দুপুর ১ টায় পরিবেশ অধিদপ্তর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বের হওয়ার সময় শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে গাড়িগুলো আটকে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের কাজে ব্যবহৃত পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়ীও ভাংচুর করে তারা। পরে একটি বড় মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। 

এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ায় পুলিশের অনুরোধে মানবন্ধন স্থগিত ঘোষনা করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে ইটভাটার শ্রমিকরা। 

এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) মিজানুর রহমান ভূঁঞা। 

পরে জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। 

এসময় শেরপুর সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর এহসান, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জুবায়দুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ শ্রমিকদের ও মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে শ্রমিকরা সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ১২ জন ইট ভাটা মালিকের নামীয় এবং আরো ৭ থেকে ৮ শত জন মানুষ এর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ এনে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সরকারি কাজে বাধা দান এর ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া  অভিযোগ পেয়েই আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি। গতরাতে আমরা আজহার ভুক্ত ৫জন ইটভাটা মালিকের বাসায় গিয়ে তাদেরকে পাইনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, মোবাইল কোর্টের ওপর হামলা খুবই নেক্কার জনক বিষয়। মামলার গতিতে মামলা চলবে সেই সাথে হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন করতে অবৈধ ইটভাটার উপর অভিযান চলমান থাকবে।

আরো খবর

আপনার মতামত দিন