শেরপুর কন্ঠ ডেস্ক : গতকাল সোমবার দুপুরে বন ও পরিবেশ উপদেষ্ঠার খবর কাভারেজ করতে যাওয়া ছয় সাংবাদিক আহতের ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,তার ভাই নূরে আলমসহ ১৪জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার বাদী ওই ঘটনায় গুরুতর আহত এখন টিভি ও বাসস এর জেলা প্রতিনিধি,শেরপুর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মোঃ জাহিদুল খান সৌরভ। এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক। ডিআইজি স্থানীয় সাংবাদিকদের ন্যায্য বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সকালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রানালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা সৈয়দা রেজুয়ানা নালিতাবাড়ীর বনাঞ্চল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা বনে অবৈধ বালু,পাথর ও গাছ কাটা নিয়ে বন দস্যুদের বিষয়ে দৃষ্ঠি আকর্ষণ করে। উপদেষ্ঠা এ বিষয়ে রাগান্বিত হয়ে প্রশাসনকে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলতে বলে ও শ্রমিক না ধরে আসল হোতাদের ধরতে নির্দেশ দেন। এতে রাগান্বিত হন অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ৫আগষ্ঠের পরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড়ে বালু,পাথর ও গাছ লুটপাট শুরু করেন। মিজান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সীমান্ত দিয়ে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাদের টাকার বিনিময়ে পাড় করে দেওয়ার সুনিদ্দিষ্ঠ অভিযোগ রয়েছে। তিনি এখনও বনের রাজা। সাংবাদিক নেতা কাকন রেজার দাবী উপদেষ্ঠাকে পাহাড়ের বালু,পাথর নিয়ে প্রশ্ন করায় পাহাড় দস্যুরা ক্ষেপে যায এবং সাংবাদিকদের মারপিট করে ক্যামারা,মোবাইল ছিনতাই করে আতংক সৃষ্ঠি করে। উপদেষ্ঠা গাড়ীতে উঠার সাথে সাথে অকারণে নিরীহ সাংবাদিকদের আক্রমণ করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় আজ শেরপুর প্রেসক্লাব জরুরী বৈঠক ডেকে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করছে। ২/১দিনে মধ্যে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল।
শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেছেন মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
শেরপুরে ছয় সাংবাদিক আহতের ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৫৪ জনের নামে মামলা। পরিদর্শনে অতিরিক্ত ডিআইজি।
২৮